আদর্শ
.
মাগুরায় নিষ্পাপ আছিয়ার জীবনে ঘটা মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে অনেকে অনেক কিছু বলছে, করছে। তাদের প্রতিকারের পথ যেমনই হোক না কেন কথা ঘুরেফিরে একটাই, আর তা হলো অভিযুক্তদের ধরে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক, ফাঁসি দেওয়া হোক। এর ব্যতিক্রম দুই-একজনের কথা থাকলেও আদতে তারাও শাস্তিই চায়।
.
কথা হলো শুধু আইন প্রয়োগ করে, কারাগারে বন্দী করে বা ফাঁসি দিয়ে অপরাধপ্রবণতা নির্মূল কী সম্ভব? এর জবাব হলো না। আর সেটি প্রমাণিত। যারা দেশ-দুনিয়ার নূন্যতম খোঁজ খবর রাখে তারা নিশ্চয়ই অবগত আছে যে গত শতাব্দীর মধ্যে ঘটা অনেক ধর্ষককে ভয়াবহ শাস্তি ও ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে দুই-একটি।
.
কিন্তু বাস্তবতা বলছে উক্ত শাস্তির প্রভাবে ধর্ষক জন্মানো কমে নাই। বরং বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেটা আরও ভয়াবহভাবে। আগে যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা ঘটত, বর্তমানে সেখানে ১ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এমতাবস্থায় কী করণীয় হতে পারে।
.
শুধু আইন তথা শাস্তি কঠিন করে আদৌ কী অপরাধপ্রবণ নির্মূল সম্ভব? সম্ভবত না। আইন তথা শাস্তির পাশাপাশি মানুষকে একটি আদর্শ দ্বারা পরিশুদ্ধ করার সামাজিক ব্যবস্থা যতদিন না শুরু হয় ততদিন মানুষের মধ্যেকার অন্যায় তথা অপরাধপ্রবণতা দূর করা সম্ভব না। সেই আদর্শ কেমন হবে তার রূপরেখা ইতোমধ্যে পেশ করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ।
.
এখন যারা সত্যিই এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে চান, সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশে জীবনযাপন করতে চান তাদের উচিত মানুষের জাগতিক উন্নয়নের সাথে সাথে আত্মিক উন্নয়নে সামর্থ্য আদর্শের অনুসন্ধান করা, জীবনব্যবস্থার অনুসন্ধান করা। কারণ দেহ-আত্মার সমন্বয় মানুষ। এজন্য মানুষের দুটি দিককেই সমানভাবে সমৃদ্ধ করার ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়। যা না হলে বা ভারসাম্যহীন হলে অনর্থ ঘটবে। যেমনটা আজ ঘটছে।
No comments:
Post a Comment